The Mediterranean Sea সিনেমাটি মূলত একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণী হাইয়া-কে ঘিরে আবর্তিত। হাইয়া হচ্ছে একজন মেধাবী ছাত্রী, যার স্বপ্ন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা। অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে সে একটি সরকারি স্কলারশিপ পায়। কিন্তু হঠাৎ সেই স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যায়।

পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হাইয়া দিশেহারা হয়ে পড়ে। তখনই এক অদ্ভুত প্রস্তাব আসে— যদি সে একটি পরিবারের একজন সদস্যের সাথে চুক্তিভিত্তিক বিবাহে রাজি হয়, তবে তারা তার বিদেশে পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করবে। হাইয়া শেষ পর্যন্ত রাজি হয়, এবং পাড়ি জমায় কোরিয়ায়।

শুরুতে বিয়েটি ছিল শুধুই কাগজে-কলমে বৈধ, বাস্তবে নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই “অচেনা স্বামী”র সঙ্গে হাইয়ার সম্পর্ক বদলাতে থাকে। একে অপরকে জানতে গিয়ে তারা আবিষ্কার করে হৃদয়ের গভীর টান। সম্পর্কের পথ অবশ্য সহজ ছিল না। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, পারিবারিক চাপ এবং নিজেদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে অতিক্রম করে, তারা খুঁজে পায় একটি নতুন জীবনের সম্ভাবনা।

শেষদিকে হাইয়া নিজের স্বপ্ন, আত্মসম্মান এবং ভালোবাসার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে শেখে। সিনেমাটি শেষ হয় এক আবেগঘন ও মানবিক পরিণতির মধ্য দিয়ে, যেখানে বাস্তবতা ও অনুভূতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠে এক অনন্য প্রেমকাহিনী।

The Mediterranean Sea একটি হৃদয়ছোঁয়া গল্প যেখানে আছে স্বপ্ন, ত্যাগ, আত্মপ্রত্যয় এবং ভালোবাসার জটিল রূপ। এটি নিঃসন্দেহে ইন্দোনেশিয়ান সিনেমার এক উজ্জ্বল রত্ন।