“Sorop” একটি ভীতিকর এবং রহস্যময় হরর-ড্রামা, যা পারিবারিক ঐতিহ্য, অতীতের পাপ এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির মুখোমুখি হওয়ার গল্প। এটি ইন্দোনেশিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামে ঘটে যাওয়া এক রহস্যজনক পারিবারিক ঘটনার আবর্তে গড়ে ওঠে, যেখানে দুই ভাইবোন হানিফ ও ইস্তি, তাদের চাচার মৃত্যুর পর গ্রামের পুরনো বাড়িতে ফিরে আসে এবং সেখানে শুরু হয় এক বিভীষিকাময় যাত্রা।

পাকদে খইরের মৃত্যুর খবর পেয়ে হানিফ ও ইস্তি গ্রামে ফিরে আসে। তাদের গ্রামের বাড়িটি বহুদিনের পুরনো, গা ছমছমে পরিবেশে ভরা। শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও, সন্ধ্যার পর, বিশেষ করে মাগরিব নামাজের সময় (যাকে স্থানীয়ভাবে “Sorop” সময় বলা হয়), অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে।

ইস্তি অনুভব করে, কেউ বা কিছু যেন তাদের নজরদারি করছে। রাতের বেলা কানে আসে অজানা আওয়াজ, ছায়ামূর্তি দেখা যায়, এবং ঘরের পুরনো দরজা হঠাৎ খুলে যায়।

তারা জানতে পারে, পাকদে খইর জীবনের শেষ দিকে এক নিষিদ্ধ রীতিতে যুক্ত ছিলেন – যার নাম “Puasa Sorop” – যেখানে মাগরিবের সময় কবরস্থানের মাটি খেয়ে আত্মশুদ্ধির চর্চা করা হয়।

কিন্তু এই রীতি শুধু আধ্যাত্মিক চর্চা ছিল না – বরং তার গভীরে ছিল এক অন্ধকার অভিশাপ, যেটা পুরো পরিবারের উপর প্রভাব ফেলেছে। ধীরে ধীরে, হানিফ এবং ইস্তি উপলব্ধি করে যে তাদের পরিবারের অতীত লুকিয়ে আছে এক ভয়ানক পাপ, যা এখন প্রতিশোধ নিতে এসেছে।

ঘটনাগুলো আরও ভয়াবহ হতে থাকে – ঘুমের মধ্যে হাঁটা, অতীতে হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়দের মুখ দেখা, এবং এক অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি বাড়িতে ঘোরাফেরা করতে থাকে।

ইস্তি এক রাতে তার ছোটবেলার এক ঘটনা মনে পড়ে, যেটা তারা অনেক আগেই ভুলে গিয়েছিল – সে একবার এই রীতির অংশ হতে গিয়েছিল… কিন্তু বেঁচে ফিরেছিল।

হানিফ, যিনি সবকিছুতেই যুক্তিবাদ খুঁজতেন, এখন এক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। তাদের সামনে তখন একটাই পথ – এই রীতির সত্য উন্মোচন করে, অভিশপ্ত আত্মাকে মুক্ত করে দেওয়া।

এক গভীর রাতের ঝড়ো সময়, তারা পাকদে খইরের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এক কঠিন রীতি সম্পন্ন করে। কবর থেকে উদ্ভূত অশরীরী আত্মা এক হৃদয়বিদারক মুহূর্তে তাদের সামনে প্রকাশ পায়। শেষপর্যন্ত, তারা রীতির চক্র ভেঙে দিতে সক্ষম হয় – কিন্তু তার জন্য ত্যাগ দিতে হয় এক মূল্যবান স্মৃতি।

শেষ দৃশ্যে, হানিফ ও ইস্তি বাড়ি ছাড়ছে। পেছনে পড়ে থাকে প্রাচীন বাড়িটি – নিঃশব্দে, কিন্তু এই প্রথমবারের মতো শান্ত।

“Sorop” একটি ভয়াবহ, থ্রিল-ভরা চলচ্চিত্র হলেও, এটি পারিবারিক ইতিহাস, অপরাধবোধ, এবং প্রজন্মগত অভিশাপের গল্প। এটি দেখায়, অতীত থেকে পালানো যায় না – বরং তার মুখোমুখি হতে হয়, তাকে ক্ষমা করতে হয় এবং শেষমেশ মুক্তি দিতে হয়।