“শেকের হোজা” এক অদ্ভুত চরিত্র, একেবারে ব্যতিক্রমধর্মী এক বুড়ো, যার মাথা ভর্তি বিচিত্র বুদ্ধিতে। তিনি বাস করেন “কারা কেয়া” নামের এক ছোট্ট গ্রামে, যেখানে মানুষ একে অপরকে চেনে, আবার প্রতিদিন নতুন কিছু নিয়ে ঝগড়া করে। এই গ্রামটাতে সবাই জানে—যত জটিল সমস্যাই হোক না কেন, হোজা ঠিক তার নিজস্ব কায়দায় সেটা এমনভাবে সমাধান করে দেবেন যে মানুষ শুধু হাসবে না, বরং ভাবতেও বাধ্য হবে।

সেচার হোজা আসলে একধরনের গ্রামীণ দার্শনিক। তার পোশাক সাদামাটা, মুখে সবসময় রহস্যময় হাসি, আর কথা বলে যেন ধাঁধাঁর মতো। হোজার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা তার পুরনো খেজুরগাছের নিচে বসা। সেখানে প্রতিদিন বিকেলে গ্রামের নানা বয়সের মানুষ জড়ো হয়—কারও সমস্যা নিয়ে, কারও গল্প নিয়ে, কেউবা শুধু হাসি পেতে চায়। আর সেচার হোজা এক কাপ কড়া চা হাতে নিয়ে, অদ্ভুত সব উপমা আর রূপকথার মত গল্প দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। কখনো সে হাস্যরস দিয়ে বোঝায় লোভের ক্ষতি, কখনো ব্যঙ্গ করে সমাজের অন্যায়কে, আবার কখনো ছোট ছোট কথায় শেখায় বড় জীবনবোধ।

তবে হোজা কখনো সরাসরি কিছু বলে না—সে সব সময় এমনভাবে কথা বলে, যেন একটা রiddle। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, শেষে গিয়ে সবার মনে হয়, “আরে, এ তো ঠিক কথাই বলছে!” তার এই কৌশলই তাকে বানিয়েছে সবার প্রিয় “হোজা”। গ্রামের মোড়ল, ইমাম, দোকানদার, কৃষক, এমনকি শিশুদের কাছেও হোজা একজন বুদ্ধির বাতিঘর।

“শেকের হোজা” কার্টুন সিরিজটি কেবল হাসানোর জন্য নয়। এটি সমাজের ছোট ছোট সমস্যা, পার