“মুনকার” শিরোনামের স্টুডেন্ট ফিল্মটির গল্প শুরু হয় পেসান্তরেন আর-রহিমু-তে একজন নতুন মহিলা ছাত্রের উপস্থিতি থেকে। নতুন ছাত্র সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু নেই, শুধুমাত্র তিনি ধনী জন্মগ্রহণ করেন, এইভাবে নষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে কারণ তিনি সবসময় তার সারা জীবন যা চান তা পায়। এই কারণেই তার বাবা তাকে একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে চেয়েছিলেন এই আশায় যে সে আর নষ্ট হবে না এবং ইসলামের শিক্ষাগুলি আয়ত্ত করবে।

বোর্ডিং স্কুলে থাকাকালীন, তিনি প্রায়শই তার কর্তব্যগুলিকে অবহেলা করেন যেমন দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, দেরিতে ক্লাসে পৌঁছানো এবং অন্যান্য বিষয়গুলি। অতএব, যে ক্লাসটি মূলত একটি উচ্চতর শ্রেণি ছিল তাদের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল।

এটি কিছু ছাত্রদের “তার” (নতুন ছাত্র) উপস্থিতি অপছন্দ করেছে কারণ সে সবসময় ভুল করে যাতে প্রত্যেককে শাস্তি ভোগ করতে হয় যা তাদের উপর চাপানো উচিত নয়, কিন্তু নতুন ছাত্রীর উপর।

বাথরুম পরিষ্কার করা এবং বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিতে ক্লান্ত হয়ে ওবি, ডিল্লা এবং সিতি নতুন ছাত্রীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করে এবং তাকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে হুমকি দেয়। তার তিন সহপাঠীর নির্যাতনের শিকার হয়ে, রানুম, নতুন ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যদিও অনেকেই তার বন্ধু হতে না চাইলেও তাকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক।

ওবি, ডিলা এবং সিতি নতুন মহিলা ছাত্রীকে আটকে রাখে যে এক রাতে তার মাথায় স্কার্ফ ইস্ত্রি করতে যাচ্ছিল তার হাতে লোহা রেখে, তার উপর জল ঢেলে, যতক্ষণ না নতুন মহিলা ছাত্রটি পালানোর চেষ্টা করেছিল। অজান্তেই, নতুন মহিলা ছাত্রটি বনের মধ্যে দিয়ে এবং বোর্ডিং স্কুলের বাইরে ঘুরে বেড়ায়। তার তিন সহপাঠীর কাছ থেকে পালানোর সময়, একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল নতুন ছাত্রীর। ফলে তার মাথা ঠিক তার সামনেই কাঠের টুকরোতে আঘাত করে।

ওই ঘটনার পর থেকে নতুন ছাত্রীর হদিস কেউ জানে না। একদিন অবধি, “সে” (নতুন ছাত্রী) রহস্যজনকভাবে পেসান্ট্রেন আর-রহিমুতে ফিরে এসেছিল চোখ এবং নড়াচড়া নিয়ে যা মানুষের মনে হয়নি। বোর্ডিং স্কুলে তার উপস্থিতি এখন একটি নিরলস ভয়ের ছায়া হয়ে উঠেছে। অদ্ভুত জিনিসগুলি উদ্ভূত হতে শুরু করে, বিশেষ করে মহিলা ছাত্রদের সাথে সম্পর্কিত।

অস্বাভাবিক উপায়ে মারা যাওয়া বেশ কিছু ছাত্র থেকে শুরু করে মারাত্মক সন্ত্রাসের শিকার শিক্ষক পর্যন্ত। সমস্ত অদ্ভুত ঘটনা অবশেষে “তার” অন্তর্ধানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, যিনি হঠাৎ বোর্ডিং স্কুলে পুনরায় আবির্ভূত হন।

প্রতি রাতে আতঙ্ক লুকিয়ে থাকে যার ফলে কিছু ছাত্র নতুন মহিলা ছাত্রী বা “তার” বিশেষ করে তার বন্ধু রানুমের অদ্ভুততা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে। রানুম তার সত্যিই অদ্ভুত উপস্থিতিতে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে নিজেকে দূর করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাইহোক, “সে” এখনও তাড়া করে।

ভয়ঙ্কর মুনকার ভূত এখন বোর্ডিং স্কুলে উস্তাদজের (ইসলামিক শিক্ষকদের) সামনে তার আসল আত্ম প্রকাশ করে। ঘটনাটি যে রাতে নতুন মহিলা ছাত্রী একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিল, তার মৃতদেহটি তার নিজের বাবা একজন আধ্যাত্মিক নেতার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। প্রাণঘাতী সন্ত্রাস কি প্রতিহিংসার তৃষ্ণার্ত মুনকার ভূতের প্রতিশোধ হতে পারে? তাহলে কি এই অদ্ভুত মৃত্যুর অভিজ্ঞতা সবারই হবে?