Mevlana Jalaluddin Rumi Season 1 Episode 1

rumi_poster

Mevlana Jalaluddin Rumi ( মওলানা জালালুদ্দিন রুমি)

জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (ফার্সি: جلال‌الدین محمد رومی; ৩০ সেপ্টেম্বর ১২০৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩), যিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলভি রুমি নামে তবে শুধু মাত্র রুমি নামেও পরিচিত, ১৩শ শতাব্দীর একজন ফার্সি সুন্নি মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী ছিলেন। রুমির প্রভাব দেশের সীমানা এবং জাতিগত পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়েছে; ফার্সি, তাজাকিস্তানি, তুর্কি, গ্রিক, পশতুন, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা বিগত সাত শতক ধরে বেশ ভালভাবেই তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে যথাযথভাবে সমাদৃত করে আসছে।

 

তার কবিতা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ধারায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের “সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি” এবং “সর্বাধিক বিক্রীত কবি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
           
রুমির সাহিত্যকর্ম বেশিরভাগই ফার্সি ভাষায় রচিত হলেও তিনি অনেক স্তবক তুর্কি, আরবি এবং গ্রিক ভাষায়ও রচনা করেছেন। তার লেখা মসনবী-কে ফার্সি ভাষায় লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে গণ্য করা হয়। বৃহত্তর ইরান এবং বিশ্বের ফার্সি ভাষী জনগোষ্ঠী এখনও তার লেখাগুলো মূল ভাষায় ব্যাপকভাবে পড়ে থাকে। অনুবাদসমূহও খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে তুরস্ক, আজারবাইজান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ এশিয়ায়। তার কবিতা ফার্সি সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে, শুধু তাই নয় তুর্কি সাহিত্য, উসমানীয় তুর্কি সাহিত্য, আজারবাইজানি সাহিত্য, পাঞ্জাবের কবিতা, হিন্দী সাহিত্য, উর্দু সাহিত্যকেও অনেক প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও অন্যান্য ভাষার সাহিত্য যেমন তুর্কীয়, ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, চাগাতাই, পশতু এবং বাংলা সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে। তার জীবনদর্শনের উপর শিবলী নোমানীর রচিত সাওয়ানেহে মাওলানা রূম অন্যতম।
তাকে ইংরেজিতে “রুমি” নামে সবচেয়ে বেশি ডাকা হয়। তার পুরো নাম “জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ বালখি” বা “জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ রুমি”। বালখি এবং রুমি দুটো তার জাতিগত নাম, যথাক্রমে অর্থ “বালখ্‌” থেকে এবং “রুম” থেকে (রুম আনাতোলিয়ার ফার্সি এবং তুর্কি নাম)। রুমির নির্ভরযোগ্য জীবনীলেখক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রাঙ্কলিন লুইসের মতে, আনাতোলিয়া উপদ্বীপ বাইজেন্টাইন বা রুম সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল যেটি পরবর্তীতে তুর্কির মুসলিমদের দখলে আসে, যেটি এখন পর্যন্ত আরব, পারস্য এবং তুর্ক নামে পরিচিত, যেটি ছিল রুম এর ভৌগোলিক এলাকা। যেখানে অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব জন্মগ্রহণ করেছেন রুমি ছিলেন তাদেরই একজন। “রুমি” শব্দটি মূলত আরবিক যার অর্থ রোমান।”

 

তিনি “মোল্লা-ই রুম (রুমের মোল্লা) নামেও পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি ইরানে তার উপনাম “মাওলানা” নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং তুরস্কে মেভলানা” নামে পরিচিত মাওলানা একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে শিক্ষক। মৌলভী (ফার্সি) ও মেভলানা (তুর্কি) শব্দ দুটিও আরবি থেকে এসেছে, যার অর্থও শিক্ষক। এই দুটি উপনাম তার নামের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
রুমি ফার্সি ভাষী মাতাপিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বর্তমান আফগানিস্থানের বালখের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি হয় ওয়ালখ্‌স  যা বৃহৎ বালখ্‌ সাম্রাজ্যের বালখ্‌স নদীর কাছে একটি গ্রাম যেটি বর্তমানে তাজাকিস্তান, অথবা বর্তমান আফগানিস্থানের বালখ্‌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।বৃহৎ বালখ্‌ তখন ছিল ফার্সি সংস্কৃতি] সুফি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু, যা বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। রুমির পিতা ছাড়াও রুমির উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন তখনকার ফার্সি কবি আত্তার এবং সানাই। রুমি তাদের গুণগ্রাহিতা করেছেনঃ “আত্তার হচ্ছে আত্মা, সানাই হচ্ছেন তাঁর দু’চোখ, এবং এরপরে আমরা তাঁদের লাইনে এসেছিলাম” এবং আরেকটি কবিতাতে স্মৃতিচারণ করেছেন “আত্তার ভালবাসার সাতটি নগরই ভ্রমণ করেছেন আর আমি এখনও একটি গলির প্রান্তে অবস্থান করছি”।তার পৈতৃক দিক থেকে তিনি নাজিম উদ্দিন কুবরা এর বংশধর ছিলেন।তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় রুম সালাতানাত এর পারস্যতে কাটিয়েছেন। যেখানে তিনি তার কাজ রচনা করেছেন এবং ১২৭৩ ঈসায়ীতে ইন্তেকাল করেছেন। তাকে কোনিয়ায় সমাহিত করা হয়  এবং সেটি এখন একটি তীর্থস্থান হয়ে উঠেছে। রুমির মৃত্যুর পর তার ছেলে সুলতান ওয়ালাদ এবং তার অনুসারীরা “মৌলভী ক্রম” স্থাপন করে, এটিকে ঘূর্ণায়মান দরবেশও বলা হয়, যেটি সুফী নৃত্যে “সামা” এর জন্য বিখ্যাত। তাকে তার পিতার কাছে শায়িত করা হয় এবং তার দেহাবশেষ এ একটি জমকাল দরগাহ নির্মাণ করা হয়। শামস উদ্দিন আহমদ আফলাকী এর “মানকিব উল-আরিফিন”(১৩১৮ এবং ১৩৫৩ এর মধ্যে লেখা)তে এর বিস্তারিত রয়েছে। এই ঐতিহাসিক জীবনীগ্রন্থকে অত্যন্ত মূল্যবান বলা হয় কারণ এতে রুমি সম্পর্কে কিংবদন্তি এবং সত্য রয়েছে।উদাহরণস্বরূপ, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো এর প্রফেসর ফ্রাঙ্কলিন লুইস এর লেখা রুমি এর জীবনী গ্রন্থে ইহা সম্পর্কে আলাদা একটি অধ্যায় রয়েছে।
রুমির পিতা বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ ছিলেন বালখ্‌ এর একজন ধর্মতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ, এবং একজন অতীন্দ্রিয়বাদী, যিনি রুমি এর অনুসারীদের কাছে “সুলতান আল-উলামা” নামে পরিচিত। সবচেয়ে জনপ্রিয় জীবনীগ্রন্থ লেখকদের মতে তিনি ছিলেন খলীফা আবু বক্কর এর বংশধর, যদিও আধুনিক গবেষক-পণ্ডিতরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।] মায়ের দিক থেকে খোয়ারিজমীয় বংশধর দাবি করা হয়েছিল রাজবংশের সাথে যুক্ত করার জন্য কিন্তু এ দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয় কালানুক্রমিক এবং ঐতিহাসিক কারণে। সবচেয়ে সম্পূর্ণ বংশতালিকা করা হয়েছে তার পরবিরারে যা ছয় থেকে সাত প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত যেটি যুক্ত হয়েছে হানাফি ফকীহগণের সাথে। আমরা বাহা উদ্দিন এর মায়ের দিক থেকে নামের উৎস জানতে পারিনা, কিন্তু শুধুমাত্র তিনি তাকে “মামি”(ফার্সি ভাষায় মা এর চলিতরূপ)বলে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি ছিলেন খুবই সাধারণ একজন মহিলা যিনি ১৩ শতকে বাস করেছেন। রুমি এর মা ছিলেন মুইমিনা খাতুন। তার পারিবারিক কাজ ছিল কয়েক প্রজন্ম ধরে ইসলাম ধর্মের হানাফী মাজহাবের প্রচারণা করা এবং পরিবারের এই ঐতিহ্যকে রুমি এবং সুলতান ওয়ালাদ অব্যাহত রেখেছেন। যখন মঙ্গোল মধ্য এশিয়া দ্বারা আক্রান্ত ১২১৫ এবং ১২২০ সাল এর মধ্যে, বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ তার পুরো পরিবার এবং একদল শিষ্যসহ পশ্চিমাভিমুখে রওনা হন। ঐতিহাসিকদের মতে যেটি রুমির শিষ্যদের দ্বারা একমত না, রুমির সাথে তখন পারস্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় রহস্য কবি আত্তার এর দেখা হয় ইরানিয়ান শহর “নিশাপুর” এ। আত্তার সাথে সাথেই রুমির আধ্যাত্নিক বৈশিষ্ট্য চিনতে পেরেছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন রুমি তার পিতার পিছনে হেঁটে যাচ্ছেন এবং বললেন, “একটি হ্রদের পিছনে একটি সমুদ্র যাচ্ছে”। তিনি বালককে একটি বই প্রদান করলেন “আসরারনামা” নামে যেটি ইহজগতে আত্মাকে জড়িয়ে ফেলা সম্বন্ধে। এই সাক্ষাত আঠারো বছরের রুমির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং পরবর্তিতে তার কাজের উৎসাহ হিসাবে কাজ করেছে। নিশাপুর থেকে ওয়ালাদ এবং তার লোকজন বাগদাদ এর দিকে রওনা হন এবং অনেক পণ্ডিত ও সুফীদের সাথে সাক্ষাত করেন।বাগদাদ থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কায় হজ্জ পালন করেন। এরপর অভিযাত্রী কাফেলার দলটি দামেস্ক, মালাত্যেয়া, এরজিকান, শিবাস, কায়সেরি এবং নিগদি পাড়ি দেয়। এরপর তারা কারামান এ সাত বছর থাকে। রুমির মা এবং ভাই উভয়েই সেখানে মারা যায়। ১২২৫ সালে,কারামানে রুমি বিবাহ করেন গওহর খাতুনকে। তাদের দুটো ছেলেঃ সুলতাম ওয়ালাদ এবং আলাউদ্দিন চালাবী। যখন তার স্ত্রী মারা যান রুমি পুনরায় বিবাহ করেন এবং তার এক ছেলে, আমির আলিম চালাবী ও এক মেয়ে মালাখী খাতুন। ১২২৮ সালের ১ মে, আনাতোলিয়া শাসক আলাউদ্দিন কায়কোবাদ তাদেরকে আমন্ত্রণ জানান, বাহা উদ্দিন আনাতোলিয়া আসেন এবং আনাতোলিয়া এর কোনিয়াতে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন যেটি রুম সালাতানাত এর পশ্চিমাঞ্চল। বাহা উদ্দিন মাদ্রাসা এর প্রধান শিক্ষক হন এবং যখন তিনি মারা যান রুমির বয়স পঁচিশ বছর, উত্তরাধিকারসূত্রে তিনি তার পিতার পদ পান একজন ইসলামিক মৌলভি হিসাবে। বাহা উদ্দিন এর একজন ছাত্র, সৈয়দ বুরহান উদ্দিন মোহাক্কিক তীরমিযি, রুমিকে শরীয়াহ এবং তরীকা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে থাকেন বিশেষ করে তার পিতার দিকগুলো। নয় বছর ধরে তিনি সুফীবাদ শিক্ষা গ্রহণ করেন বুরহান উদ্দিন এর শিষ্য হিসাবে যতদিন না তিনি মারা যান ১২৪০ বা ১২৪১ সালে। এরপর রুমির জনজীবন শুরু হয়ঃ তিনি একজন ইসলামী ফকিহ্‌ বা আইনজ্ঞ হন, ফতওয়া প্রকাশ করেন এবং কোনিয়ার মসজিদে নৈতিকতা সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে থাকেন। তিনি মাদ্রাসাতে একজন মৌলভি হিসাবে কাজ করেন এবং তার অনুগামীদের শিক্ষা দেন। এই সময়কালে রুমি দামেস্ক ভ্রমণ করেন এবং বলা হয়ে থাকে তিনি সেখানে চার বছর অতিবাহিত করেন। দরবেশ শামস তাবরিজি এর সাথে সাক্ষাৎ হয় ১৫ নবেম্ভর ১২৪৪ সালে যেটি তার জীবন সম্পূর্ণরুপে বদলে দেয়। একজন সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষক এবং আইনজ্ঞ থেকে রুমি একজন সাধুতে রূপান্তরিত হন। শামস মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র ভ্রমণ করে খুঁজছেন এবং বলছেন “কে আমার সঙ্গ সহ্য করিবে”। একটি কন্ঠ তাকে বলিল, “বিনিময়ে তুমি কি দিবে?” শামস উত্তর দিলেন, “আমার শির!!” কন্ঠটি আবার বলল, “তাহলে তুমি যাকে খুঁজছ সে কোনিয়ার জালাল উদ্দিন”। ১২৪৮ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে রুমি এবং শামস কথা বলছিলেন, এমন সময় কেউ শামসকে পিছনের দরজায় ডাকে। তিনি বের হয়ে যান এবং এরপর আর কোথাও কখনো দেখা যায়নি। গুজব শোনা যায় যে রুমির পুত্র আলাউদ্দিন এর মৌনসম্মতিতে শামসকে হত্যা করা হয়, যদি তাই হয় তাহলে শামস এই রহস্যময় বন্ধুত্তের জন্য তার মাথা দিয়েছেন।
রুমির কবিতা ভিত্তি গঠন করে ইরান এবং আফগান সংগীতের। তার কবিতার সমসাময়িক সর্বোত্তম অনুবাদ করেন মোহাম্মদ রেজা সাজারিয়ান, শাহরাম নাজেরি, দাবুদ আজাদ(এই তিন জন ইরানের) এবং উস্তাদ মোহাম্মদ হাশেম চিশতী(আফগানিস্তান)। অনেক আধুনিক পাশ্চ্যাতের লোকদের কাছে সুফিবাদ দর্শন এবং ব্যবহার পরিচিতিতে তার শিক্ষা হচ্ছে সর্বোত্তম। পশ্চিমা বিশ্বে শাহরাম শিবা প্রায় বিশ বছর ধরে রুমির কবিতা শিক্ষা, প্রতিপাদন, পরিবেশন এবং অনুবাদ করে আসছেন এবং যেটি রুমির ইংরেজি ভাষী দেশসমূহে রুমির তাৎপর্য বিস্তারে সহয়তা করে আসছে। পাকিস্তানের জাতীয় কবি মোহাম্মদ ইকবাল রুমির কাজ দ্বারাই অনুপ্রাণিত, এবং তাকে আত্নিক পথ পদর্শক হিসাবে দেখেন এবং তাকে “পীর রুমি” বলে সম্বোধন করেন তার কবিতাগুলোতে(সম্মানার্থে পীর শব্দটি ব্যবহৃত হয় যার অর্থ প্রতিষ্ঠাকারী, শিক্ষক কিংবা পথ পদর্শক)শাহরিন শিবা দাবি করেন, “রুমি উচ্চ ব্যক্তিসত্তা সম্পন্ন এবং মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত বৃদ্ধি এবং উন্নতির জগতকে গুলিয়ে ফেলেন একটি স্পষ্ট এবং সরাসরি ছন্দে। তিনি কখনো কারো উপর ক্ষুব্ধ হন না এবং তিনি সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করেন… আজকে রুমির কবিতা গীর্জা, সিনাগগ(ইহুদী ধর্মস্থান), মঠ এ শুনা যায় পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের সংগীত অনুষ্ঠানেও।” প্রফেসর মজিদ এম. নাইনি এর মতে, “রুমির জীবন এবং রুপান্তর সত্যিকারের সাক্ষ্য এবং প্রমাণ যে সকল ধর্মের লোক একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবে। রুমির দৃষ্টিভঙ্গি, শব্দসমূহ, এবং জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং সুখ পাব যাতে করে আমরা ক্রমাগত শত্রুতা এবং ঘৃণার প্রবাহ বন্ধ করতে পারি এবং সত্যিকারের বিশ্ব শান্তি এবং ঐক্য অর্জন করতে পারি।” রুমির কবিতা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে যার মধ্যে রুশ, জার্মান, উর্দু, তুর্কি, আরবী, বাংলা, ফরাসী, ইতালীয়, এবং স্প্যানিশ, এবং উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপর যার মধ্যে সঙ্গীতানুষ্ঠান, কর্মশালা, অধ্যায়ন, নৃত্যানুষ্ঠান এবং অন্যান্য শৈল্পিক সৃষ্টিতে। সোলেমান বার্খসের করা রুমির কবিতার ইংরেজি অনুবাদ সারা বিশ্বব্যাপী পাঁচ লক্ষেরও বেশি কবি বিক্রিত হয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে পঠিত কবির মধ্যে রুমি অন্যতম। শাহরাম শিবার বই “রেন্ডিং দ্য ভেইলঃ লিটারাল এন্ড পয়েটিক ট্রান্সলেশন অব রুমি”(১৯৯৫) বইটি বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন পুরস্কার লাভ করে। রুমির কবিতার রেকর্ডিং যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ডের সেরা ২০ এর তালিকায় প্রবেশ করে। মার্কিন লেখকদের বাছাই করা দীপক চোপড়ার সম্পাদনা করা ফেরুদন কিয়া অব রুমি অনুবাদ করা প্রেমের কবিতাগুলো মঞ্চায়ন করেন হলিউড ব্যক্তিত্বরা যেমন ম্যাডোনা, গোল্ডি হওন, ফিলিপ গ্লাস এবং ডেমি মুর।

 

ভারতে উত্তরাঞ্চলে দর্শনীয় স্থান আছে যেটি রুমি দরজা বা রুমি গেইট নামে পরিচিত, এটি লাখনাও(উত্তর প্রদেশ এর রাজধানী)তে অবস্থিত যেটি রুমির নামে নামকরণ করা হয়।
আফগানিস্তানে রুমি “মাওলানা” নামে পরিচিত, তুরস্কে “মওলানা” এবং ইরানে “মৌলভী” নামে পরিচিত। ২০০৭ সালে রুমির জন্মদিন ইউনেস্কোর সহযোগিতায় “শান্তিতে মানুষের মন গঠনের” লক্ষে কার্যনির্বাহী সমিতি এবং সাধারণ সভায় আফগানিস্তান, ইরান এবং তুরুস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রস্তাব করা হয় এবং অনুমোদন দেয়া হয়। ইউনেস্কো এর মধ্যে ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ এ স্মৃতিরক্ষা উৎসব পালন করে ইউনেস্কো একটি পদক ঘোষণা দেয় রুমির নামে যাতে করে এটি উৎসাহিত করে রুমির উপর গবেষণা এবং যারা রুমির চিন্তা এবং আদর্শ প্রচারণা করছে যেটি ইউনেস্কোর আদর্শিক দায়িত্ব বাড়াতে সহায়তা করে

আফগানিস্তানের সংস্কৃতি এবং যুব মন্ত্রণালয় একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করে, যেটি আন্তর্জাতিক দার্শনিক এবং কবিদের জন্মদিন পালন করে সেমিনারের আয়োজন করে এবং জীবনী নিয়ে আলোচনা করে। এতে বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিবিদ এবং মাওলানার অনুসারীদের মহাসমাবেশ ঘটে মাওলানার জন্মস্থান বালখ এ এবং এটি অনুষ্ঠিত হয়কাবুলে।

২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইরানে স্কুল বেল বাজানো হয় সারাদেশজুড়ে মাওলানাকে সম্মান প্রদর্শনের লক্ষে] একই বছর, ইরানে ২৬ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত রুমি সপ্তাহ পালন করা হয়। একটি অনুষ্ঠান এবং সম্মেলন তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়, এটি উদ্বোধন করেন ইরানের রাষ্ট্রপতি এবং ইরানের সংসদের চেয়ারম্যান। ঊনত্রিশটি দেশ থেকে পণ্ডিতরা সেখানে যান এবং সম্মেলন ৪৫০টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ইরানি শিল্পী শাহরাম নাজেরিকে “লিজিওন ডি’অনার” দেয়া হয় এবং ২০০৭ সালে ইরানের জাতীয় সংগীত পুরস্কার দেয়া হয় রুমির মাষ্টারপিসের উপর তার খ্যাতনামা কাজের জন্য। ইউনেস্কো ২০০৭ সালকে ঘোষণা দেয় “আন্তর্জাতিক রুমি বর্ষ” হিসাবে।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ এ, তুরস্কে পালন করা হয় রুমির আটশতম জন্মবার্ষিকী একটি বিশাল ঘূর্ণয়মান দরবেশদের সামার মাধ্যমে যেটি আটচল্লিশটি ক্যামেরা দ্বারা টেলিভিশনে প্রচার করা হয় সরাসরি আটটি দেশে। তুরস্কের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী ইর্তুগাল গুয়ানী বলেন, “তিনশরও বেশি দরবেশ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে বলে ঠিক করা হয়েছে, এটি সামা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হবে।”

Server 01

Download Link

About Osmani Khelafot (উসমানী খেলাফত)

Watch Kurulus osman,Alparslan Buyuk Selcuklu, Barbaroslar, Destan and others Turkish and Islamic series and Movies With Bangla and English Subtitles 4K,FHD and HD FREE. Watch Turkish series and movies Bangla and English Subtitles within 3 hours of reliese of the episode Turkish series and movies Bangla and English Subtitles

উসমানী খেলাফত একটি বাংলা সাবটাইটেল প্লাটফর্ম। আমারা ২০২২ সালের জুন মাসে আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা সুস্থ সাংস্কিতি প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন ইসলামিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক সিরিজ ও মুভির বাংলা সাবটাইটেল করে থাকি। আমাদের কাজের ভিতর অন্যতম হল: কুরুলুস উসমান, উয়ানিশ বুয়ুক সেলজুক, আল্প আর্সালান বুয়ুক সেলজুক, বারবারোসলার, দেস্তান, মেন্দিরমান জালোলিদ্দিন, পায়িথাত আব্দুল হামিদ, মেন্দিরমান জালালুদ্দিন, আতেশ কুশালিরি এবং, অন্যান্য। বাংলা ভাষাভাষী লোকদের মাঝে এ সকল সিরিজ পৌছে দেওয়ার জন্য একদল তরুন কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের ভালবাসা, তথ্য ও মতামত আমাদের কাম্য। আমরা আমাদের যর্থাসাধ্য চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আমাদের মানসম্মত সাবটাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আগামীতে আমরা সেইটা অব্যাহত রাখবো। আমাদের সাবটাইটেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের ওয়েব সাইট এ Contact-Us এ গিয়ে আমাদের জানাবেন।

আরেকটি বিষয় যেইটা অনেক গুরুত্বপুর্ন, কেউ যদি আমাদের ভিড়িও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রচার করতে চান তাহলে দয়া করে আমাদের ভিড়িও এর অনুবাদক এবং পেইজ ম্যানশন দিতে ভুলবেন না

ধন্যবাদ সবাই সুন্দর এবং সাবলিল সাবটাইটেল দেখতে আমার সাইট ভিজিট করুন।

Leave a Reply