ইবনে সিনা (Ibn Sina)
ইবনে সিনা এর নাম শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। ইবনে সিনা নামক বিখ্যাত আবু আলী হুসাইন বিন আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলী ইবনে সিনা ছিল তার নাম, অনেকে আবু আলীইবনে সিনা নামেও তাকে চিনেন। তিনি বুখারার খারমাতায় এলাকার আবছায়া নামক স্থানে ৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাতানতরে আগস্ট মাসে জন্ম গ্রহণ করেন যা আরবি সন হিসেবে ৩৭০ হিজরি। তার বাবার নাম আব্দুল্লাহ, যিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। এবং মা সিতারা বিবি। তিনি ছিলেন ফার্সি ভাষার। যদিও তিনিও অন্য সবার মতো জ্ঞান প্রকাশের অস্ত্র হিসেবে আরবিভাষাকেই বেছে নেন। তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী, তিনি ১০ বছর বয়সেই কোরআনে হাফেজ হোন, এরপর তিনি তার শিক্ষক ইসমাইল সূফি এর নিকট ফিকাহ অর্থাৎ আইন শাস্ত্র এবং ইসলামিক বিভিন্নবিষয়ের উপর পড়ালেখা করেন।
খুব অল্প বয়সে এত জ্ঞান লাভ করাই তার বাবা সিদ্ধান্ত নেই তাকে এমন কারো কাছে তুলে দিবে যে কিনা জ্ঞানের অন্য সীমায় পৌঁছেছে, এই খুঁজেই শহরের এক মেওয়া বিক্রেতাকে খুঁজে পান ইবনে সিনা এর বাবা আব্দুল্লাহ। এই মেওয়া বিক্রেতা মূলত একজন ভারতীয় অংকবীদ ছিলেন, খবর পেয়ে ইবনে সিনা এর বাবা আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা কে তার কাছে নিয়ে গিয়ে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু তিনি এর পূর্বে কাউকে তার জ্ঞান বন্টন করেননি তাই শুরুতে মানা করলেও তার মেধা সম্পর্কে জানার পর তিনি রাজি হন, ইবনে সিনা খুব অল্প সময়ে তার থেকে সব ধরনের অংকের জ্ঞান শিখে নেন, তার মেধা দেখে মেওয়া বিক্রেতা ইবনে সিনা কে আল-নাতিলি নামক একজন জ্ঞানীর হাতে তুলে দেন, যিনি কিনা সময়ের অন্যতম জ্ঞানী ছিলেন। আল-নাতিলি এমন তীক্ষ্ণ মেধার ছাত্র পেয়ে তাকে কঠিনভাবে পড়ানো শুরু করেন, ইবনে সিনা আল-নাতিলি থেকে জ্যামিতি ও যৌতিক বিদ্যা শিখে নেন,
কিন্তু অল্প সময়ের পর এমন একটা সময় আসলো যখন এত বড় জ্ঞানী আল-নাতিলি এর কাছে আর কিছুই ছিল না ইবনে সিনা কে শেখানোর মত। ইবনে সিনা আল-নাতিলি এর কাছে থাকা মানতেক পড়ে, এটি পড়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তার শিক্ষক আল-নাতিলি এর কাছে শিখার আর বাকি কিছু নেই। আল-নাতিলি ইবনে সিনা কে নিজের স্বাধীন মত গবেষণা করার জন্য বলেন। যখন তিনি নিজ স্বাধীনভাবে আবিষ্কার শুরু করেন তখন তিনি একের পর এক আবিষ্কার করতেই থাকেন। কিন্তু তিনি এতে ক্ষান্ত হয়ে যান, এবং তার বয়স যখন ষোল, তার মাথায় ডাক্তার বিষয়ে পড়ালেখার ইচ্ছা জাগে। তিনি ১৬ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত দুটি বছরে ডাক্তারি বিষয়ক পড়ালেখা সম্পূর্ণ করেন। তার জ্ঞানের এমন বিস্তার আশেপাশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। অন্য একটি দেশের নূহ বিন মানসুর নামক এক বাদশাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে ইবনে সিনা কে প্রাসাদ থেকে ডাকা হয়, তিনি গিয়ে বাদশাহ কে সুস্থ করে তোলেন, বাদশাহ খুশি হয়ে ইবনে সিনা এর যা ইচ্ছা তাকে তার থেকে চাইতে বলেন,
ইবনে সিনা চাইলে অনেক ধন-সম্পত্তি চাইতে পারতেন, কিন্তু তিনি রাষ্ট্রীয় পাঠাগারটি সব সময় ব্যবহারের অনুমতি চান, বাদশাহ থাকে অনুমতি দিলে তিনি রাষ্ট্রীয় পাঠাগারে মগ্ন হয়ে পড়েন, তিনি সেখানে এমন এমন বই খুঁজে পান যা তিনি পূর্বেও দেখেননি পরেও কোথাও দেখেননি, তিনি সেখানে সকল বই পাঠ করেন এবং অনন্য জ্ঞান সেখান থেকে তিনি লাভ করেন। এরপর সেই বাদশাহ মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীরা বাদশাহ এর জায়গায় তাকে স্থলাভিষিক্ত করেন, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি নতুন হওয়ায় কিছু ভালোমতো করে উঠতে পারছিলেন না, তার রাজ্যে বড় একটি বিদ্রোহ হয়, তিনি তা দমন করতে সক্ষম হননি, এতে পুরানো বাদশা এর উত্তরাধিকারীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হোন। তাই তিনি সে চাকরি ছেড়ে সেখান থেকে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়া পরেন, একের পর এক শহর তিনি পরিদর্শন করেন, এর মধ্যে তিনি খাওয়ারিজম শহরে মহান জ্ঞানী আল বিরুনি এর সান্নিধ্য লাভ করেন, ধীরে ধীরে তার বয়স হয়ে গেলে তিনি কোথাও শান্তিতে বিশ্রামে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, আর এ সিদ্ধান্তে তাকে সাহায্য করেন হামদানের বাদশাহ, তিনি সেখানে জীবনের একটি লম্বা সময় পার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে হামদান এর বাদশাহের বয়স হয়ে গেলে ইবনে সিনা কে প্রধানমন্ত্রী এর পদে নিয়োগ করেন
এতে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা খুব ক্ষিপ্ত হন কারণ তিনি তাদের কাছে বিদেশী ছিলেন। তিনি এ সমস্ত কর্মকাণ্ড সহ্য করতে না পেরে তিনি ইসফাহানে চলে আসেন, ইসফাহান যা এখন ইরানে অবস্থিত। তিনি লম্বা একটি সময় সেখানে পার করেন, এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তার জন্য সেখানে ছিল। এরপর হামদান এবং ইসফাহানের মধ্যে একটি যুদ্ধ বাধলে, ইসফাহানের রাজা তাকে সে যুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে নিয়ে যেতে চান, ইবনে সিনা নিজেই অসুস্থ থাকলেও কৃতজ্ঞতা স্বরূপ না করতে পারেননি,
চিকিৎসক হিসেবে নিয়ে যেতে চান, ইবনে সিনা নিজেই অসুস্থ থাকলেও কৃতজ্ঞতা স্বরূপ না করতে পারেননি,
তাই তিনি যুদ্ধে চিকিৎসক হিসেবে যান। এবং শিবিরে অবস্থানরত অবস্থায় তলপেটে ব্যথা উঠে তিনি ১০৩৮ খ্রিস্টাব্দে ৫৮ বছর বয়সে তিনি এই নশ্বর দুনিয়া ত্যাগ করেন। তিনি তার এই ছোট জীবনে ৪৫০ টি কিতাব রচনা করেন, এর মধ্যে ১৫০ দর্শন বিষয়ক, ৪০ টি চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক। মোট ২৪০ টি কিতাব এখন বিশ্বে টিকে রয়েছে। এবং এই সমস্ত কিতাব এর মধ্যে কিতাবুস সিফা সবচেয়ে বিখ্যাত। উনার নামে আমাদের দেশে অনেক হসপিটাল এবং ফাউন্ডেশন রয়েছে, বিশ্বের আনাচে-কানাচে অনেক স্থাপনা উনার নাম দিয়ে তৈরি, এভাবে তিনি শত শত বছর ধরে মানুষের মনের কটিন গুহে জায়গা রেখে দিয়েছেন! আল্লাহ তাআলা ইবনে সিনা কে জান্নাতবাসি করুক!
Server 01
Download Link
About Osmani Khelafot (উসমানী খেলাফত)
Watch Kurulus osman,Alparslan Buyuk Selcuklu, Barbaroslar, Destan and others Turkish and Islamic series and Movies With Bangla and English Subtitles 4K,FHD and HD FREE. Watch Turkish series and movies Bangla and English Subtitles within 3 hours of reliese of the episode Turkish series and movies Bangla and English Subtitles
উসমানী খেলাফত একটি বাংলা সাবটাইটেল প্লাটফর্ম। আমারা ২০২২ সালের জুন মাসে আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা সুস্থ সাংস্কিতি প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন ইসলামিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক সিরিজ ও মুভির বাংলা সাবটাইটেল করে থাকি। আমাদের কাজের ভিতর অন্যতম হল: কুরুলুস উসমান, উয়ানিশ বুয়ুক সেলজুক, আল্প আর্সালান বুয়ুক সেলজুক, বারবারোসলার, দেস্তান, মেন্দিরমান জালোলিদ্দিন, পায়িথাত আব্দুল হামিদ, মেন্দিরমান জালালুদ্দিন, আতেশ কুশালিরি এবং, অন্যান্য। বাংলা ভাষাভাষী লোকদের মাঝে এ সকল সিরিজ পৌছে দেওয়ার জন্য একদল তরুন কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের ভালবাসা, তথ্য ও মতামত আমাদের কাম্য। আমরা আমাদের যর্থাসাধ্য চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আমাদের মানসম্মত সাবটাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আগামীতে আমরা সেইটা অব্যাহত রাখবো। আমাদের সাবটাইটেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের ওয়েব সাইট এ Contact-Us এ গিয়ে আমাদের জানাবেন।
আরেকটি বিষয় যেইটা অনেক গুরুত্বপুর্ন, কেউ যদি আমাদের ভিড়িও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রচার করতে চান তাহলে দয়া করে আমাদের ভিড়িও এর অনুবাদক এবং পেইজ ম্যানশন দিতে ভুলবেন না
ধন্যবাদ সবাই সুন্দর এবং সাবলিল সাবটাইটেল দেখতে আমার সাইট ভিজিট করুন।